Blog
অনলাইন শপিংয়ে নিরাপদ থাকার সঠিক উপায় !!
অনলাইনে টাকা লেনেদেনের প্রবণতা যেমন বাড়ছে, তেমনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোক ঠকানোর কারবারও। অনলাইন শপিংয়ের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, না হলে আপনার কষ্টার্জিত টাকা চলে যেতে পারে অন্যের পকেটে! তাই অনলাইন শপিংয়ে নিরাপত্তার জন্য নিচের কৌশল গুলো অবলম্বন করতে পারেন।
অনলাইন শপিংয়ে নিরাপদ থাকার উপায়–
নিরাপদে অনলাইন শপিং করার জন্য নিচের বিষয় গুলো মনে রাখা প্রয়োজন ।
১. শপিং করুন বিশ্বস্ত সাইট থেকেঃ
বর্তমান বিশ্বে ই-কমার্স সাইটের জনপ্রিয়তা এখন অনেক উর্দ্ধে। যারই ফলশ্রুতিতে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ই-কমার্স সাইট তৈরী হচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে যে কেউই শপিংয়ের জন্য কোন নির্ভরযোগ্য সাইটের শরনাপন্ন হবে।
তাই আপনিও অর্ডার করার পূর্বে সাইটটি বিশ্বস্ত কিনা তা যাচাই করে নিবেন। সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় সাইট থেকে কেনাকেটা না করাটাই ভাল। কেননা কোন পন্য অর্ডারের সময় আপনার ঠিকানা, ফোন নম্বরসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাইটকে সরবরাহ করতে হয়। তাই বুঝতেই তো পারছেন কেন বিশ্বস্ত সাইট থেকে কেনাকাটা করবেন?
২. ই–কমার্স সাইটের URL চেক করুনঃ
ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দেওয়ার আগেই সাইটটির URLটি যাচাই বা চেক করুন। আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে, সাইটটির ঠিকানা https দিয়ে শুরু হয়েছে কিনা। যদি দেখেন শুধুমাত্র http দিয়ে শুরু তবে ঐ সমস্ত সাইট থেকে শপিং করা থেকে বিরত থাকুন। কেননা https এমন একটি নিরাপদ সংযোগ নির্দেশ করে যা হ্যাকারদের আটকানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যদি কোন সাইট https ছাড়া থাকে এবং আপনার ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চাচ্ছে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে এটি হ্যাকারদের কোন চক্রান্ত।
৩. বিকল্প একাউন্ট তৈরী করুনঃ
অনলাইনে কেনাকাটা করার আগে, আপনার মূল একাউন্টটি ছাড়া বিকল্প একটি ইমেইল একাউন্ট খুলুন। এক্ষেত্রে আপনি জি-মেইল অথবা যেকোন একটি ফ্রি ইমেইল একাউন্ট খুলুন এবং ই-কমার্স সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করুন। কারণ একবার রেজিষ্ট্রেশন করার পর পরই আপনাকে বিভিন্ন লোভনীয় অফারের মাধ্যমে স্প্যাম ছড়াতে থাকবে। তাছাড়া অহরহ ই-মেইলতো পাঠাতেই থাকবে যা বিরক্তির একটা কারণ। এভাবে আপনি ই-কমার্স সাইটটি কোন স্প্যাম ছড়াচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে পারবেন। যদিও একসময় ইমেইল বিজ্ঞাপন খুবই জনপ্রিয় ছিল কিন্তু স্প্যামের কারণে এটা আর এখন তেমন একটা জনপ্রিয় নয়।
৪. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুনঃ
যেকোন ই-কমার্স সাইট থেকেই আপনি কেনাকাটা করুন না কেন আপনাকে অবশ্যই উক্ত সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। আর রেজিষ্ট্রেশন করার সময় অবশ্যই একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
সচরাচর ব্যবহৃত হয় এরকম কোন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কেননা সহজেই হ্যাকাররা এটা হ্যাক করে ফেলতে পারে। পাসওয়ার্ডকে শক্তিশালী করার জন্য যেকোন Symbol সহ Alphabetic ও Numeric কি ব্যবহার করুন।
৫. কেনাকাটার ক্ষেত্রে অবশ্যই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুনঃ
যেহেতু কেনাকাটার ক্ষেত্রে ডেবিট এবং ক্রেডিট দুইটি কার্ডই ব্যবহৃত হয়। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে পরামর্শ দিব যে কেনাকাটার সময় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন। কেননা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় যেটা ডেবিটের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র ডেবিট কার্ডের পাসওয়ার্ড জানলে অনেকেই অনলাইনে শপিং করতে পারবে। তাই কেনাকাটার সময় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করাই অধিকতর যুক্তিযুক্ত।
৬. কেনাকাটার সময় ফ্রি ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুনঃ
হ্যাকাররা অধিকাংশ সময়ই ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা দিয়ে ব্যবহারকারীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেয়। তাই ই-কমার্স সাইটে কেনাকাটার সময় অবশ্যই ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
৭. কাজ শেষে লগ আউটঃ
আমরা অনেকেই কাজ শেষ হবার পর লগ আউট করতে ভুলে যাই। অথবা ইচ্ছে করেই লগ আউট করি না। বিশেষ করে মোবাইলে লগ আউট করি না বললেই চলে। কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন কি ই-কমার্স সাইটে ক্রেডিট কার্ডের তথ্যসহ লগইন করা অবস্থায় যদি আপনার মোবাইলটি চুরি হয়ে যায়? তাই আমি পরামর্শ দেব যে, অবশ্যই আপনি যে কোন সাইটে লগইন করার পর কাজ শেষে লগ আউট করে নিবেন। হোক সেটা ফেসবুক, টুইটার, গুগলপ্লাস অথবা কোন ই-কমার্স সাইট।
৮. লোভনীয় বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুনঃ
অনেক সময়ই ই-কমার্স সাইটে লগইন করার পর পর লোভনীয় অফারসহ পপ-আপ বিজ্ঞাপন প্রদর্শণ করে। আপনি ভুলেও এই সমস্ত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন না। এক্ষেত্রে ক্লিক করার পরপরই আপনার সকল তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে।
৯. ফ্রি নয় ভাল মানের পেইড এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুনঃ
আমরা অনেকেই খরচের কথা চিন্তা করে ভাল মানের এন্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার ব্যবহার করি না। কিন্তু যখন ঝামেলায় পড়ি তখন ঠিকই উপলব্ধি করি। তাই আমাদের উচিত কিছু টাকা খরচ হলেও ভাল মানের এন্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা।
এছাড়াও ই–কমার্স সাইটে কেনাকাটার সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে যাচাই করুন –
সাইটটির URLটি https দিয়ে শুরু কিনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের কোন শক্তিশালী গ্রুপ বা পেইজ আছে কিনা।
পেইজে লাইকের সংখ্যা ও গ্রুপের সংখ্যা কেমন।
নির্দিষ্ট কোন অফিসের ঠিকানা আছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে পারেন।
বাংলাদেশের অন্যতম নিরাপদ এবং বিশ্বাসযোগ্য অনলাইন শপ টিপটপ। নিরাপদ শপিং এর জন্য টিপটপ আপনাকে দিচ্ছে সকল প্রকার সুবিধা। কারন আপনি টিপটপ থেকে পাবেন পন্য দেখে পেমেন্ট করার সুবিধা এবং পন্য পছন্দ না হলে ফেরত দেওয়ার সুবিধা । সেই সাথে ২৪ ঘন্টা কাস্টমার সার্ভিস এবং সরাসরি আমাদের অফিসে এসে কথা বলার সুযোগ।