Blog
অনলাইন শপিংয়ে অর্থ সাশ্রয় করার সঠিক উপায়
মানুষ দিন দিন শৌখিন হয়ে পড়েছে। যানজট ঠেলে, বাজার ঘুরে দরদাম করে পছন্দের জিনিসটি কেনা এ দেশের মানুষের চিরায়ত অভ্যাস হলেও এই অভ্যাসের ফাঁকফোকর দিয়ে কখন যেন ঢুকে পড়েছে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবনতা। তাই আজকাল অনেকেই শপিং করার জন্য আর বাজারে যেতে চায়না বরং ঘরে বসেই অনলাইনে শপিং করার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো ইতিমধ্যেই মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আজ আমরা অনলাইন শপিংয়ে অর্থ সাশ্রয় এর টিপস নিয়ে আলোচনা করবো।
অনলাইন শপিংয়ে অর্থ সাশ্রয় করার উপায় :
অনলাইনে শপিং করতে গিয়ে অনেক মানুষই অধিক অর্থ খরচ করে বসে, অন্য কথায় অনলাইন কেনাকাটায় অর্থ বাঁচানোর কৌশল তারা জানেন না। এর কারণ হলো, অনলাইন বাজার সম্বন্ধে তাদের ভাল ধারণা থাকে না। অনলাইন কেনাকাটায় টাকা বাঁচাতে হলে আপনাকে আরো বেশি স্মার্ট হতে হবে। আপনাকে জানতে হবে অনলাইনে কখন কি কিনতে হবে। এই নিবন্ধে এমন কিছু কৌশল নিয়ে আলোচনা করব, যা অনলাইনে কেনাকাটায় আপনাদের অর্থ বাঁচাতে সহযোগিতা করবে।
১. অনলাইনে কেনাকাটার জন্য একটি আলাদা ইমেইল ব্যবহার করুনঃ
অনলাইনে কেনাকাটার জন্য একটি আলাদা ইমেইল ব্যবহার করবেন, যে ইমেইলটি অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করবেন না। অনলাইনে কেনাকাটায় টাকা বাঁচানোর জন্য এটি খুবই সহায়ক।
এর অনেকগুলো সুবিধাজনক দিক আছে। যেমন অনলাইনে খুচরা বিক্রেতারা বিভিন্ন ধরনের অফার ক্রেতাদের ইমেইল করে পাঠায়। আবার মাঝেমধ্যে তারা বিশেষ কুপন দিয়ে থাকে, যা ব্যবহার করে কেনাকাটা করলে বিশেষ মূল্যছাড় পাওয়া যায়। আপনি এই ইমেইল চেক করবেন শুধুমাত্র কেনাকাটার প্রয়োজনে এবং খুব সহজেই বিশেষ মূল্যছাড় এবং কুপনের খবর জানতে পারবেন।
আপনি চাইলে এমন বিশেষ মূল্যছাড় বা কুপন পেলে তাৎক্ষণিক অনলাইন দোকানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, যা আপনার কেনাকাটায় অর্থ বাঁচাতে খুবই সহায়ক হবে।
২. পন্য কেনার আগে গবেষণা করুনঃ
আপনার কাঙ্খিত পণ্য যথার্থ মূল্যে অনলাইন থেকে কিনতে পণ্যটি নিয়ে গবেষণা করুন। এই গবেষণা আপনার মূল্যবান অর্থ বাঁচাতে সাহায্য করবে। একই পণ্য কয়েকটি অনলাইন দোকানে খোঁজ করুন এবং পছন্দ হবার পর পণ্য সরবরাহকারী বা উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করুন। সাথে সাথে পণ্যের মানের উপর ভিত্তি করে প্রাসঙ্গিক মূল্য পেলে তবেই পণ্যটি কিনুন। এতে অযথা বেশি অর্থ খরচ থেকে রক্ষা পাবেন।
৩. বিক্রয় মূল্য যাচাই করুনঃ
অনলাইন কেনাকাটায় অর্থ বাঁচানোর আরেকটি চমৎকার উপায় হলো পণ্যের স্বাভাবিক দামের সাথে কোনো বিশেষ মূল্যছাড় আছে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করা। অনেক মানুষ একটি পণ্য পছন্দ হবার পর সরাসরি তা চেকআউট করে কিনে নেন। অনেক সময় হাতের কাছে আরও দু-একটি অপশন থাকে যেখানে বিশেষ মূল্যছাড় বা কুপন ব্যবহারের সুযোগ থাকে। সুতরাং চেকআউট করার আগে এই সুযোগগুলো কাজে লাগান।
তাছাড়া যে অনলাইন দোকান থেকে কেনাকাটা করছেন কোনো পণ্য চেকআউট করার পূর্বে ওই ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। প্রতিবার কেনাকাটার সময় এই একই অ্যাকাউন্ট থেকে লগ-ইন করুন। এতে অনলাইন কেনাকাটায় অর্থ বাঁচানোর নতুন নতুন উপায়ে আপনার সামনে অনলাইন দোকানটি নিজেই উপস্থাপন করবে।
৪. সঠিক সময়ে কেনাকাটা করুনঃ
অনলাইন কেনাকাটায় মানুষ আরো একটি ভুল করে থাকে, তা হল সঠিক সময়ে কেনাকাটা না করে। সঠিক সময়ে কেনাকাটা করা অর্থ বাঁচানোর আরেকটি মোক্ষম উপায়। বাস্তবের দোকানগুলোতে যেমন সপ্তাহ শেষে বা কোনো একটি উৎসব সামনে নিয়ে শেষ সময়ে পণ্যের দাম বেড়ে যায় বা পণ্যের সংখ্যা কমে যায়, অনলাইন দোকানেও একই ব্যাপার ঘটে। সুতরাং শেষ সময়ে কেনাকাটা করা বন্ধ করুন। কোনো একটি অনুষ্ঠান বা উৎসবকে সামনে রেখে যতটা সম্ভব হাতে সময় রেখেই কেনাকাটা করুন। হাতে যথেষ্ট সময় রেখে কেনাকাটা করলে ব্যাপারটা হয় এমন যে, এই পণ্যটি আপনার কাছে বিক্রি করতে পেরে দোকানী খুশি, আর শেষ সময় কেনাকাটা করলে ব্যাপারটি এমন হয় যে, আপনি পণ্যটি কিনতে পেরে খুশি! কারণ আরও দেরি করলে হয়তো পণ্যটি আপনার কেনা হত না!
৫. এক দোকান থেকে কেনাকাটা করুনঃ
অনলাইন কেনাকাটায় টাকা বাঁচানোর আরো একটি চমৎকার উপায় হলো একই দোকান থেকে কেনাকাটা করা। এক্ষেত্রে কোনো একটি অনলাইন দোকান পছন্দ করার পূর্বে ভালোভাবে যাচাই করুন। অনেকগুলো অনলাইন দোকান দেখুন, জানুন এবং তাদের সার্ভিস সম্বন্ধে খোঁজ খবর নিই। তারপর সবচেয়ে ভালো একটি অনলাইন দোকান সাথে সর্বাধিক লেনদেন করার চেষ্টা করুন। একই দোকান থেকে নিয়মিত এবং অধিক পণ্য কিনলে কেনাকাটায় আপনার অর্থ সাশ্রয়ের পথ সুগম হবে। আপনি যদি একই বিক্রয় প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক পণ্য কেনেন তাহলে বিক্রয় প্রতিষ্ঠানেই আপনার জন্য বিশেষ মূল্যছাড়ের বা কুপনের ব্যবস্থা করে দেবে, যা আপনার অনেক অর্থ সাশ্রয় করবে। সুতরাং আপনার সকল পণ্য একটি অনলাইন দোকান থেকে কেনার চেষ্টা করুন এবং তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন। তাতে কেনাকাটার পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট হারে আপনি মূল্য ছাড় পেতে শুরু করবেন, যা নিঃসন্দেহে আপনার অর্থ সাশ্রয় করবে।
৬. নির্বাচিত কিছু পণ্য না কিনে কার্টে রেখে দিনঃ
বেশিরভাগ অনলাইন শপে পাশাপাশি দুইটি অপশন থেকে, যেমন “Add to Cart” এবং “Buy Now”। “Add to Cart” করার অর্থ হলো আপনি কিছু পণ্য একটা ঝুড়িতে সংরক্ষণ করে রাখলেন, এগুলো আপনি ভবিষ্যতে কিনতে চান। আর “Buy Now” অর্থ হলো এখনই পছন্দ করে পণ্যটি এখনই কিনতে চান।
অনলাইন কেনাকাটায় টাকা বাঁচানোর একটি চমৎকার কৌশল হলো এই “Add to Cart”-এ কিছু পণ্য সংরক্ষণ করে রাখা। আপনি কোনো অনলাইন শপ থেকে কেনাকাটার সময় কিছু পণ্য কার্টে অ্যাড করে রাখুন, যেগুলো আপনি ভবিষ্যতে কিনতে আগ্রহী। আপনি যেহেতু একজন সত্যিকারের ক্রেতা, সুতরাং বিক্রয় প্রতিষ্ঠানটি আপনার কার্টে রাখা পণ্যটির ব্যাপারে আপনার আগ্রহ বুঝতে পারবেন এবং এমন ক্ষেত্রে বেশিরভাগ অনলাইন শপ তাদের বিক্রি কমানোর পরিবর্তে কয়েকদিনের মধ্যেই ক্রেতার জন্য সুনির্দিষ্ট ঐ পণ্যটিতে বিশেষ মূল্য ছাড়ের ব্যবস্থা করে থাকেন।
সুতরাং আশা করা যায়, কার্টে সংরক্ষণ করে রাখা বিশেষ পণ্যের ক্ষেত্রে আপনিও এমন বিশেষ মূল্যছাড় পাবেন, যা অনলাইন কেনাকাটায় আপনার অর্থ বাঁচাতে খুবই সহায়ক হবে।
৭. মূল্য ফেরতের আবেদন করুনঃ
অনলাইন শপ থেকে কেনাকাটায় অর্থ বাঁচানোর আরও একটি কার্যকর উপায় হলো নিজে থেকে বিক্রয় প্রতিষ্ঠানকে মূল্য ফেরতের আবেদন করা। অবশ্য এক্ষেত্রে আপনাকে একই নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত এবং বেশি বেশি কেনাকাটা করতে হবে। একসাথে অনেক পণ্য কেনার ক্ষেত্রে আপনি ফোনে অথবা ইমেইলে বিক্রয় প্রতিষ্ঠানকে মূল্য ফেরতের আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই আপনি সফল হবেন এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে অথবা নির্দিষ্ট শতাংশে মূল্য ফেরত পাবেন। অনলাইন শপগুলো এটি করে থাকে তাদের বিশ্বস্ত এবং নিয়মিত ক্রেতাদের খুশি করার জন্য। আপনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই অনলাইন কেনাকাটায় আপনার খরচ কমাতে পারেন।
৮. অনলাইন শপিং গ্রাহক পরিষেবা কর্মীদের সাথে ফোনে কথা বলুনঃ
অনেক অনলাইন শপ নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বিশেষ মূল্যছাড় বা মূল্যছাড়ের কুপন ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি যদি মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ভেবে এ মূল্য ছাড় পাওয়ার কোনো চেষ্টা না করেই সরাসরি পণ্যটি ক্রয় করেন, তাহলে এই সুযোগ থেকে আপনি বঞ্চিত হবেন। সুতরাং অনলাইন থেকে কোনো পণ্য কেনার আগে যদি ইতিপূর্বে সেই পণ্যটিতে বিশেষ মূল্যছাড় বা কুপন দেয়া হয়ে থাকে, তবে গ্রাহক পরিসেবা সেন্টারে কথা বলে মূল্য ছাড় পাওয়ার চেষ্টা করুন। তাতে আপনার অনলাইন কেনাকাটায় নিশ্চয়ই কিছু অর্থ বাঁচবে।
৯. অনলাইন শপিং এর সময় কুপন কোড ব্যবহার করুনঃ
দৈনিক পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ফেসবুক ও ইউটিউব; এইসব মাধ্যমে বিক্রয় প্রতিষ্ঠান তাদের বিজ্ঞাপন করার সময় বিশেষ কুপন কোড দিয়ে থাকে। আপনি এসব বিজ্ঞাপন থেকে খুব সহজেই সে কুপন কোড সংগ্রহ করে তা কেনাকাটায় ব্যবহার করতে পারেন। আবার অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পণ্যের বিশেষ মূল্যছাড়ের কুপন সরবরাহ করে থাকে। আপনি এইসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজে কুপন কোড সংগ্রহ করতে পারেন। এভাবে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা কুপন কোড ব্যবহার করে আপনি অনলাইন কেনাকাটায় খরচ কমাতে পারেন।
১০. দক্ষতার সাথে কুপন ব্যবহার করুনঃ
আপনি যদি একই পণ্যে বিভিন্ন কোড ব্যবহার করে অর্থ বাঁচাতে চান তবে লক্ষ রাখুন একই সাথে সবগুলো কোড একটি নির্দিষ্ট পণ্যের ব্যবহারের অনুমতি আছে কিনা। সাথে সাথে মনে রাখুন, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় কুপন ব্যবহারের পরিবর্তে সবসময় শতাংশ হারে মূল্য হ্রাসের কুপন ব্যবহার করা বেশি সুবিধাজনক, তাতে বেশি অর্থের সাশ্রয় হয়। সুতরাং অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা কুপন ব্যবহারে আরো বেশি দক্ষ হোন। সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে যথার্থ উপায় আপনার সংগ্রহ করা কুপন ব্যবহার করুন।
১১. অনলাইন শপিং এর সময় পছন্দের ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংক সার্ভিস ব্যবহার করুনঃ
যদিও ব্যাংকগুলো সকল লেনদেন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে চার্জ নিয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করলে বিশেষ মূল্যছাড় বা অর্থ ফেরতের সুযোগ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে ছুটির দিন, কোনো মেলা বা কোনো উৎসবকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানগুলো এসব সুযোগ দিয়ে থাকে। আপনিও এই সুযোগগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনার অনলাইন কেনাকাটায় খরচ বাঁচাতে পারেন।
১২. অনলাইন শপিংয়ে ওয়ান স্টপ ওয়েবসাইট ব্যবহার করুনঃ
ওয়ান স্টপ ওয়েবসাইট হচ্ছে এমন একটা অনলাইন পোর্টাল যা আপনাকে দিবে ভিন্ন ভিন্ন স্টোরের এ্কি রকম পণ্যর একটা তালিকা । এছাড়া পণ্যের দাম বিভিন্ন স্টোরে কেমন তাও জানতে পারবেন ফলে দাম কমবেশী যাচাই করে আপনার পছন্দ মতো পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। যেমন বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে কমদামে ফাস্টফুড খাবারের সন্ধানে ফুডপান্ডা এবং জাস্টইট হচ্ছে পপুলার ওয়েবসাইট ।
১৩. প্রাইজ ও ক্যাটাগরি ফিলটার সহ ওয়েবসাইট ব্যবহার করুনঃ
ওয়েবসাইটে যদি প্রাইজ ও ক্যাটাগরি ফিলটার থাকে তবে তা আপনার পয়সা বাঁচাবে।কেননা আপনি নির্দিষ্ট কোন পণ্য কিনতে চাইলে তা আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী খুঁজতে পারবেন। এছাড়া এই প্রক্রিয়ায় কোন কিছু অনুসন্ধান করার প্রক্রিয়াটি আরও ছোট হয়ে যায়। ফলে বেশী দাম দিয়ে কিছু না কিনে সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটা করতে পারবেন। অ্যামাজন, ইবে এবং ফ্লিপকার্ট ওয়েবসাইটে রয়েছে প্রাইজ ও ক্যাটাগরি ফিলটার। তাই কেউ খুব সহজেই তার সাধ্যের মধ্যে পণ্য খুঁজতে পারে বলে এই ওয়েবসাইটগুলো বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়।
১৪. শপিং লিস্ট ম্যানেজার ব্যবহার করুনঃ
আপনি কি জানেন, এমন একটি সফটওয়্যার আছে যা আপনার শপিং লিস্ট ম্যানেজ করবে। আপনি অনলাইনে শপিং করার সময় এই সফটওয়্যারটি আপনার পছন্দ অনুযায়ী পণ্যের ক্যাটাগরি কুপন অনুযায়ী একটা লিস্ট তৈরি করবে, যা ঐ স্টোরে রয়েছে। এই সফটওয়্যারটি আপনার পছন্দের লিস্ট অনুযায়ী কোন পণ্যের জন্য যদি স্টোরটি কুপন বা ডিসকাউন্ট অফার দায় তবে তা আপনাকে সরণ করাবে।
১৫. অনলাইন শপ এর মেম্বার হউনঃ
অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আপনাকে মেম্বারশিপ অফার করে। আপনি যদি জানেন যে আপনি একটি নিদিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে শুধু একবারই পণ্য কিনবেন তখন এই মেম্বারশিপ আপনার জন্য খুব একটা উপকারী হবেনা। আর আপনি যদি জানেন, আপনি বার বার ঐ ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনবেন, তবে তাদের মেম্বার হওয়া আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে। কারণ মেম্বার হলে অনেক সময় ডিসকাউন্টের পাশা পাশি বিভিন্ন গিফট ওয়েবসাইটগুলো প্রদান করে থাকে।
১৬. শপিং খরচ দেখে চলুনঃ
অনলাইন শপিং করার সময় সব সময় শপিং কস্ট দেখে চলুন। একটা পণ্য কেনার আগে দেখুন এর শিপিং কস্ট কত। অনেক সময় দেখা যায় আপনার কেনা পণ্যের খরচ যা হয় ও শিপিং কস্টও তাই হ। ফলে ঐ পণ্য কেনার আগে ভেবে দেখুন কেননা এতে আপনার পয়সার অপচয় হবে। অনেক ওয়েবসাইট ফ্রি শিপিং দিয়ে থাকে তাই ঐসব ওয়েবসাইট থেকে শপিং করলে আপনার আর এক্সট্রা খরচ হবেনা পণ্য ডেলিভারির জন্য। তবে অবশ্য ঐসব অনলাইন শপ থেকে পণ্য কিনবেন না যেখানে ফ্রি ডেলিভারির জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ শপিং করতে বলে। কেননা এতে দেখা যায় আপনার বাজেট যত থাকে তার চাইতে বেশী খরচ করা লাগে।
আশাকরি আজকের আলোচনা আমাদের অনলাইন শপিং এর খরচ কমাতে এবং স্বচ্ছন্দময় শপিং করতে সহায়ক হবে।